বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০২ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হাজার হাজার নতুন রকেট নির্মাণের কাজ শুরু করেছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনের একজন পলিটব্যুরো নেতা। তিনি বলেছেন, ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ হওয়ার পর গাজার রকেট নির্মাণ কারাখানাগুলো আবার চালু হয়েছে। হামাস নেতা ফাতনি হামাদ রোববার গাজায় এ ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘ইহুদিবাদীদের সর্বশেষ আগ্রাসন বন্ধ হওয়ার পর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন রকেট উৎপাদন প্রক্রিয়া আবার শুরু করেছে।”’ তিনি বলেন, ‘বায়তুল মুকাদ্দাস ও আল-আকসায় ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর দমন অভিযান রুখে দিতে আমাদের কারখানা এবং ওয়ার্কশপগুলোতে হাজার হাজার রকেট নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে।
চলতি মে মাসের শুরুর দিকে আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর ইসরাইলি সেনাদের ব্যাপক অমানষিক ও বর্বর হামলার অভিযানের প্রতিবাদে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইল অভিমুখে রকেট নিক্ষেপ শুরু করে গাজার প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো।
প্রথম দিনেই দেড় হাজারের ও বেশি রকেট ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করতে সক্ষম হন হামাস নেতা। দখলদার ইসরাইল টানা ১২ দিন ধরে গাজা উপত্যকার বেসামরিক অবস্থানে বিমান হামলা চালিয়ে তার জবাব দেয়। ইসরাইল বিমান হামলা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে গাজা থেকে ইসরাইলের বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে হাজার হাজার রকেট নিক্ষেপ করতে থাকে হামাস ও ইসলামি জিহাদ আন্দোলনসহ অন্যান্য প্রতিরোধ সংগঠন। তারা এই ১২ দিনে জেরুসালেম, তেল আবিব এমনকি দূরবর্তী হাইফা শহরে চার হাজারের বেশি রকেট নিক্ষেপ করে ইসরাইলিদের অন্তরে কাঁপন ধরিয়ে দেয়।ফিলিস্তিনিদের রকেটের পাল্লা ও নিখুঁতভাবে আঘাত হানার ক্ষমতা দেখে ফিলিস্থিনের তেল আবিব ১২ দিনের মাথায় যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে বাধ্য হয়।
তবে গাজার বিভিন্ন যায়গায় অবস্থিত এই রকেট ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কারখানা গুলো উল্লেখিত ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে এতোটাই উদগ্রীব হয়েছে যে,ভবিষ্যতে যাতে করে মুসলিম খোকো বেনি নিয়ামিন নেতানিয়াহু আর গাজায় বসবাসরত মুসলিমদের উপর আক্রমন করতে হাজার বার চিন্তা করে।
’
Leave a Reply